Friday, August 26, 2016

জানুন জঙ্গীদের কেমিক্যাল ব্রেইন-ওয়াশ সম্পর্কে! সাবধান হোন

সাম্প্রতিক সময়ের বহুল আলোচিত ঘটনা গুলশান ট্রাজেডি। এটা নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। চলছে জঙ্গিদের নিয়ে বিস্তর গবেষণাও। গবেষণা চলছে সেইসব যুবক ছেলেদের নিয়েও যারা তাদের বুদ্ধি-বিবেচনা হারিয়ে এরকম একটা ধ্বংসাত্মক কাজে নিজেদের জড়িয়েছে।
আপনার কি মনে হয়, একটা ফুটবল প্রিয় ছেলে যে কিনা সারাদিন ফুটবল খেলত, এমনকি ঘুমানোর সময়ও গ্লাভ্‌স পড়েই ঘুমিয়ে যেত, সেই ছেলে কোনো বাজে দলের পাল্লায় পড়ে এরকম একটা কাজে নিজেকে জড়াতে পারে!
এত বছরের অর্জিত জ্ঞান নিমেষেই হারিয়ে ফেলতে পারে শুধুমাত্র কারো কথায়? আসুক বিষয়টা ব্যাখ্যা করা যাক।
ধরা যাক, আইএস বা যেকোন জঙ্গী বাহিনীই আপনাকে ধরল। তারা ধরা যাক অন্য দেশের। তাই তাদের ভাষাটাও ভিন্ন। তারা আপনাকে আরবী দিয়ে কিছু শক্ত শক্ত যুক্তি দিয়ে তাদের দলে যেতে বলল। তাদের ভাষা শুনে আপনি এমনটা ব্রেইন-ওয়াশ হতে পারবেন না যাতে করে একদম এভাবে মানুষ মারা যায় বিবেচনা ছাড়াই।
হিন্দিতে যদি ব্যাখ্যা করে তাহলে আংশিক কিছু বুঝবেন। কিন্তু বোঝার মাত্রাটা এত হবে না যার কারণে আপনি এরকম হত্যাযজ্ঞে নামতে পারেন।
বাংলাতে ব্যাখ্যা করলে আপনি প্রথমে ভয় পাবেন। অবাক হবেন। যেতে চাইবেন না। আর গেলেও আপনার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা থাকবে না।
তাহলে প্রশ্ন হলো তারা কীভাবে মানুষের ব্রেইন ওয়াশ করে? আদৌ কি কারো ব্রেইন ওয়াশ করা সম্ভব? এটা জানতে হলে আগে আপনাকে  কিছু বিষয়ের সাথে পরিচিত হতে হবে।

সিডেটিভ (Sedative):

সিডেটিভ হলো এমন এক ধরনের পদার্থ যা আপনার উত্তেজনা বা বিরক্তির মাত্রা কমিয়ে আনে। আপনার অনুভূতিগুলোকে একটা সাময়িক প্রশান্তি দান করে।
এর মাত্রা বেশি হলে মানুষ অষ্পষ্টভাবে কথা বলে, মাতালের মতো হাঁটতে থাকে, বিবেচনাবোধ কমে যায়, শরীরের অঙ্গগুলো ধীরে ধীরে কাজ করে। এক কথায় বলতে গেলে এটি হলো ঘুমের ওষুধের মতো। সাধারণত, দুশ্চিন্তা কমাতে ডাক্তাররা এটি প্রেসক্রাইব করে থাকেন।
সিডেটিভ যদি খুব বেশি মাত্রার হয় বা অন্য কোনো সিডেটিভ’এর সাথে মিশানো হয় তাহলে এ ধরনের মিশ্র সিডেটিভ অসচেতনতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
এটাকে ট্রাঙ্কুইলাইজার (Tranquillizer) ও বলা হয় যা আমাদের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

সিডেটিভ এর ইতিহাস:

আধুনিক ওষুধশিল্পের যুগের অনেক আগে,দুশ্চিন্তা কমাতে ও বিশ্রামের জন্য সাধারণত সিডেটিভ হিসেবে অ্যালকোহল দেয়া হতো। এর উপকার পাবার পর থেকেই অ্যালকোহল বা মদ এতটা জনপ্রিয় হওয়া শুরু করেছে যে এটাকে সর্বকালের সেরা সিডেটিভ বলা হয়।
এই অ্যালকোহলের বিকল্প খুঁজতে গিয়ে উনিশ শতকের শুরুর দিকে ‘ব্রোমাইড’ নিয়ে কাজ শুরু হয়। এই ‘ব্রোমাইড’ আবিষ্কৃত হয় 1826 সালে। এটি আরো জনপ্রিয় হয়। কিন্তু যখন সবাই বুঝলো যে এটি শরীরে বিষাক্ত প্রভাব সৃষ্টি করছে, তখন মেডিকেল কমিউনিটি এটাকে বাদ দিল।
তবে বিংশ শতাব্দির শুরু দিকে ‘ব্রোমাইড’ এর বদলে ‘বারবিটিউরেট’ বানানো হলো যা ছিল কার্যকর ও নিরাপদ সিডেটিভ ড্রাগ। কিন্তু স্বল্পসময়ের মধ্যেই এটার উপর নির্ভরতা, সহনীয়তা ও মারাক্তকভাবে অতিমাত্রায় ব্যবহারের সমস্যা দেখা দিল। তাই আরো নিরাপদ সিডেটিভ তৈরির জন্য চেষ্টা চালানো হলো।
1950 সালের দিকে তৈরি হলো ‘বেনজোডায়াজেপাইন’ যা ছিল বৈধ ও নিরাপদ সিডেটিভ। কিন্তু আমরা এখন জানি যে এই ‘বেনজোডায়াজেপাইন’ একটা আদর্শ দুশ্চিন্তারোধক সিডেটিভের চেয়ে নিম্নমানের আর এটার দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার মানুষের সিডেশন এর ক্ষে্ত্রে বেশ প্রভাব ফেলে। তবে এগুলো উপেক্ষা করে এটিই বর্তমানকালের বহুল ব্যবহৃত সিডেটিভ।
আগেই বলেছি যে সিডেটিভ মানুষের দুশ্চিন্তার প্রভাব কমিয়ে দেয়। এই মানুষের চেতনার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়, আর মানুষকে অসচেতন করে তোলে। তাই ঘুম হয়। এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার রয়েছে।
এই সিডেটিভগুলো মানুষকে অসচেতন করে দেয়। অথচ এই সিডেটিভগুলো কিন্তু অনেক নিম্নমানের।  এই ‘বেনজোডায়াজেপাইন’ সরাসরি মানুষের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্কের রিসেপ্টরগুলো যাতে আছে অ্যামিনো বিউটাইরিক এসিড,এগুলো মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের খুব গুরুত্বপূর্ণ ট্রান্সমিটার। অর্থাৎ মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় এগুলো খুব বড় প্রভাব রাখে।
এই নিম্নমানের সিডেটিভগুলোই যদি মস্তিষ্ককে এতটা কাবু করতে পারে তাহলে এটা দিয়ে তৈরি আরো সব মিশ্র সিডেটিভের ফলাফর কী হতে পারে!
হ্যাঁ। জঙ্গিরা এ ধরনেরই একটা সিডেটিভ ব্যবহার করতে। ভাষা দিয়ে কাউকেই ব্রেইন ওয়াশ করানো যায় না। এসকল ড্রাগ গ্রহণের ফলে তাদের দ্বারা যেকোন কাজ করানো যায়। কারণ, সেগুলো মস্তিষ্কের প্যাটার্ণই পাল্টে দেয়। একটা মানুষের মনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাকে দ্বারা যা খুশি বলানো যায় বা তাকে দ্বারা  যা খুশি করানো যায়। আসুন কিছু সিডেটিভের আলোকে ব্যাপারটা একটু ব্যাখা করা যাক।

1. Sodium Amytal

Sodium Amytal মানুষের অবাধ্যতার মাত্রা কমিয়ে দেয়,  মানসিক ব্যাখ্যা সহজ করে তোলে এবং যে কেউ ইন্টারভিউ নিতে চাইলে তার সামনে তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য করে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি শুরু হয়েছিল। সৈন্যদের মুখ থেকে তথ্য বের করার জন্য এটি ব্যবহার করা হতো। Sodium Amytal, এক ধরনের Barbiturate, এটি সৈন্যদের যুদ্ধসময়ের অভিজ্ঞতা ও তথ্য ইন্টারভিউ নেয়া ব্যক্তির সামনে প্রকাশ করতে বাধ্য করে।

2. Mescaline

এক ধরনের ক্যাকটাস গাছ থেকে তৈরি করা হয় Mescaline, এটি সাময়িক হ্যাল্যুসিনেশান তৈরি করে অর্থাৎ দৃষ্টিভ্রম ঘটায়। জার্মানরা সর্বপ্রথম এটা তাদের কাজে ব্যবহার করে, পরে U.S. Navy এটাকে সিরাম হিসেবে ব্যবহার করার জন্য পরীক্ষা শুরু করে। উভয় গবেষণাই ব্যর্থ হয়। তারা দেখতে পায় যে এভাবে প্রাপ্ত তথ্যগুলো বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। জার্মানরা তখনই চিন্তা করে যে আসলে Mescaline দ্বারা কারো মনের তথ্য বের করা সম্ভব না।

3. Scopolamine

একে বলা হয় ‘শয়তানের শ্বাস’। একে ‘জম্বি ড্রাগ’ও বলা হয়। কাউকে ডাকাতি থেকে শুরু করে, সব ধরনের কাজ করানো যায়। দক্ষিণ আমেরিকাতে এটি অপরাধ ঘটাতে ব্যবহৃত হয়। এই ড্রাগটা একদম ঠিকঠাক অপরাধ করাতে পারে Scopolamine ড্রাগস নিলে যে কেউ আপনাকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে বাধ্য করাতে পারবে, কিন্তু এর কার্যকারিতা শেষ হয়ে গেলে আপনার কিছুই মনে থাকবে না।
একটা ডকুমেন্টারি অনুযায়ী, এটি পাউডার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কেবলমাত্র মুখে ছিটালেই যেই কেউ তার নিজের মস্তিষ্কের উপর ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবেন। এই ড্রাগটি গন্ধহীন, স্বাদহীন আর বেশি মাত্রায় প্রয়োগ মরণঘাতী হতে পারে।

4. Lysergic Acid (LSD)

এটি সত্য মিথ্যা তথ্য নির্ধারণে সহায়তা করে।

5. Amphetamine

অনবরত কথা বলতে বাধ্য করে। ইনজেকশান প্রয়োগ করলে মস্তিষ্কের তথ্যগুলো খুব দ্রুত বলতে থাকে। এটা দিয়ে সত্য তথ্য বের করা যায়।

6. Pipradrol

যেকোনো অনুভূতিকে বিবর্ধিত করে। অর্থাৎ কেউ কোনো বিষয়ে অল্প বলতে চাইলেও পারবে না। ঐ বিষয়ে যা যা জানে সব বলে দিবে।

7. Ritalin

এটি শরীরের সক্ষমতাকে কমিয়ে দিয়ে কথা বলতে সাহায্য করে।

8. TD – Strong Cannabis

এটা খাদ্য বা সিগারেটের মাধ্যমে সেবন করা হয়। একটা বিষয় বললে সে বিষয়ে অসতর্কভাবে তথ্য দিতেই থাকে। যে কাউকে যেকোন বিষয় সম্পর্কে কথা বলানো যায়।

9. Chlorpromazine (thorazine)

এটিও তথ্য উদঘাটনে ব্যবহৃত হয়।

10. Twilight Zone

এটি প্রয়োগ করলে অর্ধেক স্বপ্ন আর অর্ধেক বাস্তব মনে হবে পৃথিবীকে। এটা একটু জটিল প্রক্রিয়া। তবে এটার মাধ্যমে কৌশলে সব তথ্য বের করা যায়।

11. Sodium pentothal

মিথ্যে বলার প্রভাব কমিয়ে দিয়ে সত্য বলতে বাধ্য করে।

12. Versed

যন্ত্রণার সৃষ্টি করে। কিন্তু ড্রাগের প্রভাব শেষ হয়ে গেলে কিছুই মনে থাকবে না।

অর্থাৎ এসমস্ত ড্রাগের কারণে একটা মানুষকে যেকোন পথে পরিচালিত করা যায়। তবে Scopolamine হলো বহুল ব্যবহৃত সিডেটিভ ড্রাগ। এটার বিভিন্ন বৈচিত্র আছে। আর এটা অনেকটা ধুতুরা টাইপ ফুল। আর এটি কলম্বিয়ায় প্রচুর পরিমাণে জন্মে। আর সেদেশে এটা দিয়ে অনেক কিছুই করা হয়। তবে পৃথিবীর আরো অনেক দেশেই রয়েছে। জঙ্গিদের কাছে এগুলো খুব সহজলভ্য আর তারা এভাবেই গাছের উপাদান দিয়ে তৈরি ড্রাগ দিয়ে মিশ্র পদার্থ তৈরি করে তাদেরকে হিপনোটাইজ বা মটিভেট বা পরিচালিত করে। ইচ্ছে মতো কাজ করায়। আরো কিছু জানার থাকলে শুধু গুগলে একটু 'Mind Controlling Drug' লিখে সার্চ দেবেন।
নিচের ভিডিওটা একটা প্রামাণ্যচিত্র। দেখলে অনেক বিষয়ই পরিষ্কার হবে।

World's Scariest Drug (Documentary Exclusive)

কিভাবে জঙ্গী ব্রেইন ওয়াস করা হয়?

জঙ্গিরা কোনোভাবে এসব ছেলেদেরকে নিয়ে যায় বা কিডন্যাপ করে। এরপর যা করতে বলে, তাই তারা করে। কারণ, তাদের তেমন কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। আর এত সংক্ষিপ্ত সময়ে কাউকে বুঝিয়ে ব্রেইন ওয়াশ করা সম্ভব না। কারণ, তার পরিবারের প্রতি ভালবাসা থাকার কথা, আত্মীয়-স্বজনদের কথা চিন্তা করার কথা। কিন্তু এসব ড্রাগ তাদের মস্তিষ্ককে নষ্ট করে দেয়। আর যেকোন কিছু করার জন্য বাধ্য করে। আর সেইসব হত্যাযজ্ঞের পর আমরা শুধু অবাকই হই যে এইরকম একটা ছেলে এসব কাজ কেনো করবে! কারণ, শুধু কথাতে ব্রেইন-ওয়াশ হলে তাদের বিবেচনাবোধ অন্তত থাকতো।
আমার মনে হয় যারা হলিউডের মুভিগুলো দেখেন তারা প্রথম কয়েকটা লাইনেই আমার কথা বুঝতে পেরেছেন। তাই জঙ্গি থেকে আপনার সন্তানকে বাঁচাতে হলে তাকে পর্যাপ্ত সময় দিন এবং তার সবসময় খোঁজ খবর রাখুন। একটু ব্যতিক্রমী কিছু চোখে পড়লেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন। আর পরিবারে একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থা সবসময় তৈরি রাখুন। আর তার সুস্থ বিনোদনের যথেষ্ট মাধ্যম তৈরি রাখুন। তাকেও এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন করে তুলুন। আর অপরিচিতদের ব্যাপারে সবসময় সতর্ক হতে পরামর্শ দিন। বাদবাকী আল্লাহ পাকের ইচ্ছা।
টিউনটি ভাল লাগলে টিউমেন্ট করতে ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।

“মরণ ভাইরাস” ধেয়ে আসছে আপনার দিকে!!

টেকটিউনস এ আমার এইলেখাটি সর্বপ্রথম লেখা হওয়ায় কিছু ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। পাঠকরা একটু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে পড়তে অনুরোধ করা হলো।
বি:দ্র: সবাইকে অনুরোধ করব লেখাটি পড়ার পর নিজেদের ‘হেপাটাইটিস’ আছে কিনা এটা পরীক্ষা করাবেন খুব বেশি খরচ হয় না ৪০০-৫০০ টাকা লাগে পরীক্ষা করাতে।
Liver Pic-01
২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৮ জুলাই ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে। লিভারের বিভিন্ন ধরনের রোগ ও রোগ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে সভা-সেমিনারসহ নানা আয়োজনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘হেপাটাইটিস নির্মূল’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পৃথিবীতে দুই বিলিয়ন বা ২০ কোটি লোক এই ক্ষতিকারক ভাইরাসে সংক্রমণের শিকার। প্রতিবছর বিশ্বে ৫০০ মিলিয়ন মানুষ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে  সারা বিশ্বে শুধু হেপাটাইটিস বি’র সংক্রমণে মারা যাচ্ছে সাড়ে ১০ লাখ মানুষ। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি বাহক এবং এদের ২০ শতাংশ লিভার ক্যান্সার ও সিরোসিসের কারণে মারা যায়। বাস্তবে হেপাটাইটিস-বি এইডসের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি সংক্রামক এবং প্রতিবছর এইডস (AIDS) এর কারণে পৃথিবীতে যত লোক মৃত্যুবরণ করে তার চেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করে হেপাটাইটিস-বি (HBV)’র কারণে।
Liver Pic-02
ল্যাটিন ভাষায় লিভারকে বলা হয় হেপাট। লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি হলে তাকে বলা হয় হেপাটাইটিস। বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাস একটি ভয়াবহ স্বাস্থ্য সমস্যা। হেপাটাইটিস ‘বি’ এক ধরনের ভাইরাস যা মুলত লিভারকে আক্রমণ করে। এর সংক্রমণের ফলে পৃথিবীর অন্যতম ঘাতক ব্যাধি লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সার হতে পারে। রক্ত ও রক্তজাত পদার্থ মূলত এই ভাইরাসের বাহক। ভাইরাস ছাড়াও বিভিন্ন কারণে- ব্যাকটেরিয়া, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও গলব্লাডারের অসুস্থতা থেকে হেপাটাইটিস হতে পারে।
এই ‘বি’ ভাইরাসকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করি। একটি একিউট (স্বল্প মেয়াদি) হেপাটাইটিস হতে পারে। আরেকটি ক্রনিক হেপাটাইটিস (দীর্ঘ মেয়াদি) হতে পারে। যদি ‘বি’ ভাইরাস কারো শরীরে ঢোকে এবং এটি ছয় মাস পর্যন্ত অবস্থান করে, তখন তাকে আমরা একিউট হেপাটাইটিস বলি। আর যদি ছয় মাসের বেশি অবস্থান করে তখন একে ক্রনিক হেপাটাইটিস বলি।
এখন এই ক্রনিক হেপাটাইটিস-বি দুইভাবে থাকতে পারে। অর্থাৎ অ্যাকটিভ (কার্যকর) অবস্থায় থাকতে পারে। অথবা ইনঅ্যাকটিভ (নিষ্ক্রিয়) অবস্থায় থাকতে পারে।
১। Inactive Carrier যাদের ভাইরাল ডি এন এ 2000 IU/ml এর কম বা নেগেটিভ
২। Active Carrier যাদের ভাইরাল ডি এন এ 2000 IU/ml এর বেশি।

কেন এটা মরণ ভাইরাস??

কারন অধিংকাশ মানুষই জানেনা যে সে এই রোগে আক্রান্ত! আর যখন জানতে পারে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে! হয়তো সে যখন জানতে পারে তখন তার সিরোসিস কিংবা ক্যানসার হয়ে গেছে! তাছাড়া একবার ক্রনিক সংক্রমনে আক্রন্ত হলে তার সম্পুর্ন সেরে উঠার সম্ভাবনা খুব কম! এবং লিভার ক্যানসার ধরা পড়ার ১মাসের ভিতর অধিকাংশ রোগী মারা যায়!!

এই রোগ কিভাবে ছড়ায়?

Liver Pic-03
  • সাধারনত শিশুর জন্মের সময় কিংবা শৈশবে অন্য আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের মাধ্যমে এ রোগ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়।
  • বাবা মায়ের যেকোনো একজন আক্রান্ত থাকলে তাদের নবজাতক আক্রান্ত হতে পারে।
  • গ্রামে গঞ্জের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে ডিসপোজেবল নিডল ব্যবহার না করে থাকলে।
  • রক্তক্ষরন ও অন্যান্য কারণে সৃষ্ট রক্তশূন্যতার চিকিৎসায় বারবার ব্লাড ট্রান্সফিউশন করলে।
  • একই নিডল ও সিরিঞ্জের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির মাদক দ্রব্য গ্রহণের মাধ্যমে।
  • আকুপাংচারের যন্ত্রপাতি ভালোভাবে স্ট্যারিলাইজ করা না হলে ভাইরাস ছড়াতে পারে।
  • জৈবিক মিলনের মাধ্যমে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ছড়াতে পারে। অসামঞ্জস্য শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে।
  • অন্যের ব্যবহৃত সুচ/সিরিঞ্জ ব্যবহারের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়।
  • আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যকে রক্ত অথবা অন্য কোন অঙ্গ দান করলে এ রোগ ছড়ায়।
  • দাঁতের চিকিৎসার সময় জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করলে।
তবে মনে রাখতে হবে, হাত মিলালে, একই গ্লাসে পানি খেলে, খাবারের তৈজসপত্র শেয়ার করলে, গালে বা ঠোঁটে চুমু খেলে, কোলাকুলি করলে, হাঁচি-কাশি, কিংবা মাতৃদুগ্ধপানের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায় না। রোগীর ব্যবহার করা চশমা, জামা-কাপড় ইত্যাদি এর মাধ্যমেও ছড়ায় না।

আমি কি এই রোগে আক্রান্ত?

হেপাটাইটিস-বি একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা যকৃত বা লিভার কে আক্রমণ করে। অনেক সময় সংক্রমণের প্রথম দিকে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। সংক্রমণের পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ৩০ থেকে ১৮০ দিন সময় লাগতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে-
  • চোখ হলুদ হয়ে যায়, একে জন্ডিস বলে।
  • প্রশ্রাবের রং গাঢ় হলুদ হয়।
  • পেটের ডান দিকে প্রচণ্ড বা হালকা ব্যথা অনুভব হয় এবং সেই সাথে গায়ে প্রচণ্ড জ্বর হয়।
  • খাদ্যে অরুচি এবং বমি বমি ভাব বা বমি হয়ে থাকে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তি সবসময় অস্বস্তি অনুভব করে।
  • ক্লান্ত এবং অবসাদ অনুভব হয়।
  • শরীরের চামড়া হলুদ হয় এবং চোখ সাদা ফ্যাকাশে হয়।
  • শরীর চুলকায়। (এটি সকল হেপাটাইটিস রোগের লক্ষণ)
  • কিছু লোকের ফ্লুর মতো মাথাব্যথা করে।
  • অনেকের শীত শীত লাগে।
  • কারও কারও গা শিরশির করে।
  • আস্তে আস্তে ওজন কমবে।
  • রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
  • অজীর্ণ বা বদহজমের অভাবে দীর্ঘদিন ডায়রিয়া হয়।
  • অনেকের দীর্ঘদিন ধরে শরীর গরম থাকে কিন্তু জ্বর হয় না।
  • কেউ কেউ হঠাৎ অজ্ঞানও হয়ে যান হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস এর কারণে।

কিভাবে বুঝবো আমার এই রোগ হয়েছে?

উপরোক্ত উপসর্গগুলো দেখে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকেন। রক্তের HBsAg পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। এছাড়াও উপসর্গ দেখে, লিভারের Ultrasonogram, HBeAg, Anti-HBe, Billirubin, S. ALT (SGPT), AST (SGOT), Hemoglobin, RT-PCR, HBV DNA, ALPHA, CT Angiogram, Endoscopy ইত্যাদির মাধ্যমেও রোগের জটিলতা নির্ণয় করা হয়।

আমরা কিভাবে এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারি?

ইতিহাসে খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে হিপোক্রেটিসের আমলে মহামারী হিসেবে জন্ডিসের কথা পাওয়া যায়। তবে ড. সাউল ক্রুগম্যান ১৯৫০ সালে একদল মানসিক রোগীর উপর গবেষণা চালিয়ে প্রথম এ ভাইরাসটি শনাক্ত করেন। তার দেয়া তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে ড. ব্লুমবার্গ হেপাটাইটিস-বি ভ্যাক্সিন তৈরি করেন। বর্তমানে ড. ব্লুমবার্গ এর তৈরিকৃত ভ্যাক্সিন এর পরিবর্তে রিকমবিন্যান্ট ভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হয়।

(১) টিকা গ্রহণের মাধ্যমে

Liver PIc-04
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব নবজাতককে হেপাটাইটিস বি’র টিকা নেয়া অত্যন্ত জরুরি বলে ঘোষণা করেছে এবং ইতোমধ্যে ৮০টির বেশি দেশ এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে টিকা দেয়ার সম্প্রসারিত কর্মসুচি গ্রহণ করেছে।বাংলাদেশ সরকার সকল শিশুকে হেপাটাইটিস বি ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্য একে ইপিআই ভ্যাক্সিন কার্যক্রমের অর্ন্তভুক্ত করেছে। এ টিকা যে কোনো বয়সে যে কোনো দিন নেয়া যায়। শতকরা নব্বই ভাগ মানুষের শরীরে এই ভ্যাক্সিন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে।
নির্দিস্ট নিয়মে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস -বি প্রতিরোধ করা সম্ভব। মনে রাখবেন টিকা গ্রহণের আগে অবশ্যই রক্তে হেপাটাইটিস -বি আছে কিনা পরীক্ষা করে নেয়া উচিৎ। যদি হেপাটাইটিস-বি পজিটিভ থাকে তবে টিকা নেয়া যাবে না।
৪টি টিকা আছে। প্রথম তিনটি এক মাস পর পর। শেষটি প্রথমটি নেয়ার এক বছর পরে নিতে হবে। যদি পজিটিভ হন, তবে টিকা দিয়ে আপনার কোন লাভ নেই। আর যদি নেগেটিভ হন তাহলেই আপনি এটি নিতে পারবেন এবং আপনার শরীরে এর বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি হবে। ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রেই এটি কার্যকরী এবং শিশুদের ক্ষেত্রে আরও বেশি। বিভিন্ন কোম্পানি ভেদে, তৈরি প্রণালী ও খরচ সাপেক্ষে এক এক ভ্যাক্সিনের দাম এক এক রকম। এক এক ডোজে আনুমানিক ৫০০ / ৬০০ খরচ হতে পারে।

(২) ব্যক্তিগত পদক্ষেপ

  • সেলুনে চুল, দাড়ি কাটার সময় আলাদা (Separate and disposable) ব্লেড ব্যবহার করা
  • হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা
  • নিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখা
  • শিরাপথে মাদক গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা
  • শরীরে ছিদ্র বা উলকি আঁকার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা
  • ইনজেকশন দেয়ার সময় একবার ব্যবহারের পর ফেলে দেয়া হয় (Disposable Syringe) এমন সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে
  • ধর্মীয় অনুসাশন মেনে চলতে হবে।
  • পরিবারের সবাইকে টিকা দিতে হবে।

লিভার সিরোসিসের কি ধরনের চিকিৎসা আছে?

Liver Pic-05
সাধারণত লিভার এর পরিবর্তনের (সিরোসিস) সাথে সাথে এসোফেগাল ভেরিক্স গুলো বদলে যায়। রক্তের ক্রমাগত চাপে এই ভ্যারিক্স গুলো ছিঁড়ে গিয়ে রোগীর নাক-মুখ দিয়ে রক্তপাত ঘটতে পারে, এবং রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
উন্নত বিশ্বে ভ্যারিক্স চিকিৎসায় এক ধরনের কৃত্রিম রক্তনালী (Steosis) তৈরি করে লিভারের অকার্যকর অংশ থেকে রক্তনালী সরাসরি ভ্যারিক্স এ প্রবাহিত করা হয়। বিকল্প হিসেবে আমাদের দেশে EVL বা এসোফেগাল ভ্যারিক্স লাইগেশন পদ্ধতি চালু আছে। তুলনামূলক ভাবে যার খরচ অত্যন্ত কম। মাত্র ১২/১৫ হাজার টাকায় ৩/৪ টি ভ্যারিক্স লাইগেশন করা সম্ভব। এরপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর ডায়াবেটিক বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা জেনে নিয়ে রোগীর জন্য থেরাপি নির্ধারণ করবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের ওয়েবপেজে হেপাটাইটিস ‘বি’ এর চিকিৎসায় ‘টেনোফোভির’ অথবা ‘এন্টেকাভির’ ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
উন্নত চিকিৎসার আশায় আজকাল অনেকেই বাংলাদেশ ছেড়ে ব্যাংকক, ভারত কিম্বা থাইল্যান্ডে যান।
আসলে আমাদের দেশে অণুজীব বিজ্ঞান গবেষণা এবং এ ধরনের রোগ নির্ণয়ের যে সমস্ত ল্যাবরেটরি আছে তা মান সম্মত নয় বিধায় অনেক রোগীকে তার PCR পরীক্ষার জন্য রক্ত ভারত-সিঙ্গাপুর প্রেরণ করতে হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ল্যাব এই টেস্টগুলো করছে তবে মোটেও নির্ভুল পরীক্ষা করতে পারছেনা।
আমাদের দেশের আলট্রা-সাউন্ড মেশিনগুলোর মান কিম্বা সনো-লজিস্টদের দক্ষতা এতই কম যে তারা সঠিক ভাবে রোগ নিরূপণ করতে পারেনা। তারপরেও বর্তমানে বাংলাদেশে হেপাটাইটিস ‘বি’ এর চিকিৎসায় ডাক্তারগণ পাশ্চাত্যের তুলনায় ভালো ফল পাচ্ছেন।

হেপাটাইটিস-বি জনিত লিভার সিরোসিস এর শেষ চিকিৎসা কি?

Liver Pic-06
Liver Transplantation লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীর জীবন রক্ষাকারী পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অপারেশন করে কোন ব্যক্তির রোগাক্রান্ত লিভার অপসারণ করে সেই স্থানে দাতা ব্যক্তির সম্পুর্ন বা আংশিক সুস্থ লিভার প্রতিস্থাপন করা কে Liver Transplantation বলে। বর্তমানে বাংলাদেশে Liver Transplantation সম্ভব। এতে বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। আপনি চাইলে মানসম্মত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থেকেও Liver Transplantation করাতে পারেন।
এবার আপনি সিদ্ধান্ত নিন টিকা নিয়ে ৩০০০ হাজার টাকা খরচ করবেন নাকি Liver Transplantation করে ৫০ লাখ টাকা খরচ করবেন। আর যাদের হেপাটাইটিস-বি পজেটিভ তারা দেরি না করে লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন যাপন পদ্ধতি

  • নিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
  • রেজার ব্লেড এবং দাঁত মাজার ব্রাশ অন্যের সাথে আদান-প্রদান না করা।
  • গর্ভবতী মহিলা যদি হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারকে জানাতে হবে যাতে গর্ভের শিশুর কোন ক্ষতি না হয়।
  • কাঁচা সালাদ, ফল-মূল বেশি খাবেন।
  • তেল-চর্বি যুক্ত খাবার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
  • গরু বা খাসির মাংস যেগুলো লাল মাংস হিসেবে পরিচিত এগুলো খাবেন না।
  • আধপোড়া খাবার খাবেন না, যেমন- গ্রিল।
  • লবণ বা সোডিয়াম সল্ট একেবারেই খাবেন না।
  • ভিটামিন বি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যথা বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই যুক্ত খাবার বেশি খাবেন।
  • প্রেসক্রিপশন ছাড়া এবং হেপাটলজিস্ট এর পরামর্শ ছাড়া ঔষুধ খাবেন না, বিশেষ করে হারবাল ঔষুধ!
  • খাবারে কোন বাধা না থাকলেও ফ্যাটি খাবার কম এবং সবজি বেশি খাবেন।
  • প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটবেন।
  • ব্যায়ামের অভ্যাস করবেন।
  • দিনে একবেলার বেশি ভাত খাবেন না, দুই বেলা রুটি খাবেন।
  • ধূমপান, মদ্যপান নিষিদ্ধ।
  • অযথা কোন মাল্টিভিটামিন খাবেন না।
  • প্রচুর বিশ্রাম নিন।
  • শৃঙ্খলিত জীবন যাপন করুন।
  • ভাত, রুটি, সুজি, বার্লি, শাক-সবজি, গ্লুকোজ, মাখন তোলা দুধ, ছানা, চর্বিহীন মাছ খাওয়া যাবে। কিন্তু মাখন, ঘি, চর্বিজাতীয় খাবার একেবারে বাদ।
  • তবে রোগীকে বেশি করে পানি খাওয়ানো প্রয়োজন।
পাঠকের উদ্দেশ্যে বলি, আপনি আজ-ই HBsAG পরীক্ষা করে নিন। নিজের এবং পরিবারের সবার। যদি এখনও সংক্রমিত না হয়ে থাকেন তবে অতি দ্রুত হেপাটাইটিস-বি এর প্রতিষেধক টীকা নিন।‘মরণ ভাইরাস’ এ সংক্রামক ব্যাধিটি প্রতি মিনিটে কেড়ে নেয় দুজন নারী-পুরুষের প্রাণ। এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে সবার প্রতিষেধকমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
তাই সচেতনতাই প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। হেপাটাইটিস সম্পর্কে সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় তথ্যকোষ, ইউএসএআইডি, ভয়েস অফ আমেরিকা, কানাডার “দি বেঙ্গলি টাইমস”, মারকোলা.কম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ওয়েবএমডি.কম, বাংলানিউজ২৪.কম।

আকাশে বিজলি চমকালে ইলেকট্রনিক যন্ত্র থেকে দুরে থাকুন: সচেতনতামূলক টিউন।

বিজলি চমকাচ্ছিল তখন রাত 12 টার মতো বাজে। তাই বিদ্যুৎ ও চলে গেল। আমি আইপিএস থেকে আসা বিদ্যুৎ সংযোগ ল্যাপটপে নিয়ে একটা বিজনেস আইডি কার্ড বানাইতেছিলাম। ইন্টারনেট সংযোগ ছিল রাউটারের মাধ্যমে। রাউটার টি ছিল চালের উপর লাগানো। তো আমি আমার পা টা মেঝেতে রেখে ক্যাবল কালেক্ট প্লাস্টিকের মাউস এবং কীবোর্ড দিয়ে কাজ করতেছি। একটু পর আসে পাশেই মনে হয় একটি বজ্রপাত হলো। বিকট শব্দ হলো। কিন্তু এইদিকে বজ্রপাতটি আমাকেই আঘাত করলো মাউসের মাদ্ধমে। মাউসটি মনে হয় লাল হয়ে গেল এবং আমাকে অনেক জোরে একটি শক করলো যা ডাইরেক্ট বুকে অনেক জোরে আঘাত করলো। এক সেকেন্টে আমার কি হলো তা আমিই শুধু বুঝলাম। তারপর চিল্লিয়ে অন্য রুমে চলে গেলাম। বুঝলাম না কোন দিক/লাইন দিয়ে মাউসে, তারপর আমাকে শক করলো বজ্রপাত। হয়তোবা রাউটার থেকে নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে অথবা আইপিএস এর মাধ্যমে।
এর আগের ঘটনা, তখন 2008-2009 হবে। আমি মোবাইলে fm রেডিও ধরানোর জন্য হোস্টেলের চালের উপর একটি এন্টিনা লাগালাম এবং এন্টিনায় একটি তার লাগিয়ে তারের অন্য পাশটি রুমে আনলাম। এবং দাঁত দিয়ে তাঁরের ভিতরের টি বের করতেছিলাম মোবাইলের সাথে পেছানোর জন্য। ঠিক ওই মুহূর্তে আসে পাশে একটা বজ্রপাত হয় যা এন্টিনা এবং এন্টিনা থেকে তারের মাধ্যমে আমার শরীরে। তখনও তারের মাথাটি আমার দাঁতের মধ্যে কিংবা হাতে পেচানো ছিল। যা হবার তাই হলো। বুকের মধ্যে এমন জোরে একটা আঘাত করলো যা অসহনশীল। সেইদিনও আমার পা মেঝেতেই ছিল।
তাই আকাশে যখন বিজলি চমকায় তখন ইলেকট্রনিক যন্ত্র (কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি) বন্ধ রাখুন এবং টিভি কার্ড, এন্টিনা টিভি বা কম্পিউটার থেকে খুলে রাখুন। ব্রজপাতের ভোল্ট অনেক বেশি। এলাকার কোথাও বজ্রপাত হলে তার আসে পাশের অনেক এরিয়া নিয়ে এটি এফেক্ট ফেলে। তাই নিজে সচেতন হন এবং অন্যকে সচেতন করুন।

বাঁচতে হলে জানতে হবে নিরব ঘাতক ”হেপাটাইটিস-বি” কি? (একবার হলেও টিউনটি দেখুন)

"সবাইকে টিউনটি পড়ার জন্য রইল অনেক অনেক অনুরোধ "

হেপাটাইটিস বি

হেপাটাইটিস বি
Hepatitis-B virions.jpg
ইলেক্ট্রিক মাইক্রোস্কোপে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস
শ্রেণীবিভাগ এবং বহিঃস্থ সম্পদ
বিশিষ্টতাInfectious disease[*]
ওএমআইএম৬১০৪২৪
ডিজিসেসডিবি৫৭৬৫
মেডলাইনপ্লাস০০০২৭৯
ইমেডিসিনmed/992
পেশেন্ট ইউকেহেপাটাইটিস বি
মেএসএইচD০০৬৫০৯ (ইংরেজি)

হেপাটাইটিস-বি  কি?

হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস জনিত কারনে লিভারে যে প্রদাহ হয় তাকে বি ভাইরাস জনিত হেপাটাইটিস বলে।

হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের ব্যপকতা কতটুকু?

আমাদের দেশের শতকরা ৪ ভাগ মানুষ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের বাহক। তাদের বিভিন্ন সময় জটিল লিভারের রোগ হচ্ছে। এ দেশের প্রায় ৩.৫% গর্ভবর্তী মায়েরা হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত। এই ভাইরাস তাদের নবজাতকের শরীরে সংক্রামিত হতে পারে। মনে রাখতে হবে যে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস, এইডস ভাইরাসের চেয়ে ১০০% বেসি সংক্রামক। সারা বিশ্বে প্রতি বছর এইডস (AIDS) রোগে যে পরিমাণ মানুষ মারা যায় তার চেয়ে বেসি লোক মারা যায় হেপাটাইটিস-বি (HBV) ভাইরাস সংক্রামনে।

কি ভাবে এই রোগের বিস্তার ঘটে ?

  • রোগাক্রান্ত মা এর কাছ থেকে শিশুর।
  • জন্মের পরে ভাইরসে আক্রান্ত মায়ের স্তন পানের মাধ্যমে।
  • নিরীক্ষাবিহীন রক্ত গ্রহণ।
  • ইনজেকশনের মাধ্যমে নেশার দ্রব গ্রহণ  করলে।
  • আরক্ষিত  যৌন ক্রিয়ার মাধ্যমে।
  • অন্য জনের ব্যক্তিগত জিনিস ব্যবহার করলে, যেমন - ব্রাশ, রেজার।
  • আক্রান্ত ব্যক্তিকে চুম্বনের মাধ্যমে।
  • বিভিন্ন রকমের চিকিৎসার দূষিত  যন্ত্রপাতির ব্যবহারের মাধ্যমে।

হেপাটাইটিস- বি কি কি ধরনের হয় ?

স্বল্পমেয়াদী হেপাটাইটিসঃ- এই রোগ সাধারণত কয়েক সপ্তাহ আথবা কয়েক মাসের মধ্যে ভাল হয়ে যায়।
দীর্ঘমেয়াদী  হেপাটাইটিসঃ- এই ধরনের হেপাটাইটিস সাধারণত ৬ মাস থেকে আজীবন স্থায়ী হয়। দীর্ঘমেয়াদী  হেপাটাইটিস লিভার সিরোসিস ও ক্যান্সার এর অন্যতম প্রধান কারন।

হেপাটাইটিস- বি এর উপসর্গ সমূহঃ

আক্রান্ত রোগীর কোন উপসর্গ নাও থাকতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে জ্বর, ক্লান্তিবোধ, শরীর টনটন করা, ব্যাথা, বমি ভাব এবং ক্ষুধামন্দা হতে পারে।

কিভাবে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়ঃ

১/ ব্যক্তিগত পদক্ষেপঃ-
  • অন্যের ব্যক্তিগত দ্রবাদি ব্যবহার না করা।
  • একবার ব্যবহার্য সিরিঞ্জ ও সূচ আবার ব্যবহার না করা।
  • নিরাপদ রক্তসঞ্চালন।
  • নিরাপদ যৌন চর্চা।
২/ টিকা গ্রহণের মাধ্যমেঃ-
নির্দিস্ট নিয়মে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস -বি প্রতিরোধ করা সম্ভব। মনে রাখবেন টিকা গ্রহণের আগে অবশ্যই  রক্তে  হেপাটাইটিস -বি  আছে কিনা পরীক্ষা করে নেয়া উচিৎ। যদি হেপাটাইটিস -বি থাকে তবে টিকা নেয়া যাবেনা। টিকা নেয়ার নিয়ম ০, ১, ২ ও ১২। পরীক্ষা সহ টিকা নিতে ২০০০ হাজার থেকে ৩০০০ হাজার টাকা লাগতে পারে।

হেপাটাইটিস- বি (HBsAg Positive) পজেটিভ রোগীদের করনীয়ঃ

হেপাটাইটিস- বি পজেটিভ রোগীদের ঘাবড়াবার কিছু নেই। তবে জেনে নিতে হবে যে হেপাটাইটিস- বি ভাইরাসের কারনে লিভারের কোন ক্ষতি হয়েছে কিনা অথবা সম্ভাবনা আছে কি না। এর জন্য কিছু পরীক্ষা করে নিতে হবে যেমনঃ- HBsAg, HBeAg, AST(SGOT), ALT(SGPT), HBV-DNA, Ultrasound এবং Endoscopy of upper GIT। এই সমস্ত পরীক্ষা করতে ৬০০০ হাজার থেকে ৮০০০ হাজার টাকা লাগতে পারে। এই সমস্ত পরীক্ষার ফলাফল ও রোগীর শারীরিক উপসর্গ বিবেচনা করে সঠিক চিকিৎসা নির্ধারন করতে হয়। অনেক সময় তাৎক্ষনিক চিকিৎসা আরম্ভ করতে হয়। অনেকে মনে করে যে হেপাটাইটিস- বি পজেটিভ রোগীদের আর নেগেটিভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এটা ভুল। নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে অনেক সময় নেগেটিভ করা সম্ভব হয়। তবে চিকিৎসার খরচ একটু বেসি।

হেপাটাইটিস- বি জনিত লিভার সিরোসিস এর শেষ চিকিৎসা কি?

Liver Transplantation  লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীর জীবন রক্ষাকারী পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অপারেশন করে কোন ব্যক্তির রোগাক্রান্ত লিভার অপসারণ করে সেই স্থানে দাতা ব্যক্তির সম্পুর্ন বা আংশিক সুস্থ লিভার প্রতিস্থাপন  করা কে  Liver Transplantation বলে। বর্তমানে বাংলাদেশে Liver Transplantation সম্ভব। এতে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়।

নিজের কথা 

আমি নিজে একজন হেপাটাইটিস বি এর বাহক

 কিছুদিন আগের কথা আমি ছিলাম আমার ক্লাসের ফার্সট বয়  সুন্দর মতো নিজের জিবন কাটাচ্ছিলাম আর দেয়ালিকার জন্য কাজ করছিলাম Hepatitis -B virus কিন্তু মাত্র ৩দিনের ওয়ারনিং এ আমি হয়ে গেলাম হেপাটাইটিস বি এর বাহক। আমি এখন বাসায়। ১সাপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম সুধু স্যালাইন চলেছে পানি খেলেও বমি হত। লিবার বিশেষগ্য এর পরমর্শে ঔষ  সেবন করছি। বার আপনি সিদ্ধান্ত নিন টিকা নিয়ে ৩০০০ হাজার টাকা খরচ করবেন নাকি Liver Transplantation করে ৩০ লাখ টাকা খরচ করবেন। আর যাদের  হেপাটাইটিস- বি পজেটিভ তারা দেরি না করে লিভার বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।আজঈ নিজের ও নিজের পরিবারের সদস্যদের টিকা দিন।আর জারা এ রোগে আক্রান্ত তাদের চিন্তা করার কিছু নেই সুধু বিস্রাম নিন এবং প্রচুর পরিমানে  ফল-মূল ও কাচা সালাদ এবং যতটুক পরিমানে পারুন তরল পানিয় পান করুন।

বাঁচতে হলে জানতে হবে নিরব ঘাতক”হেপাটাইটিস-বি” কি? এর সম্পূর্ণ  কেডিট #টেকটিউনস #ওইকিপিডিয়া ও #আমার হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ও পেট ব্যাথা

ভুল হলে ক্ষমা করবেন আর একটু দোয়া করবেন কারন এ রোগ নিরাময়ের আরেকেটি অন্যতম উপায় দোয়া।
কোন কিছু জানার থাকলে টিউমেন্ট এ জানান।

[মেগাটিউন]এখনই ডাউনলোড করে নিন সম্পূর্ণ অফলাইন ম্যাপ তাও আবার মাত্র 4 mb!

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভাল আছেন।

এখন GPS ব্যবহার করে কোন যায়গা খুজতে আর ইন্টারনেট লাগবে না।সম্পূর্ণ পেইড ভার্সন শুধু মাত্র আপনার জন্যই।
আমরা অনেকেই GPS ব্যবহার করে বিভিন্ন যায়গা খুজে বের করি,তবে এর জন্য ডাটা কানেকশন অন করতে হয় এবং মেগাবাইট খরচ করতে হয়।তবে আমি যে অ্যাপ নিয়ে আসছি তা দিয়ে আপনি সম্পূর্ণ অফলাইন ভাবে যেকোন যায়গা খুজে বের করতে পারবেন।কোন প্রকার মেগাবাইট খরচ করতে হবে না।

অ্যাপটি ফ্রি ভার্সন পাওয়া যায় তবে আমি দিচ্ছি একদম পেইড ভার্সন।

প্রথমে নিচ থেকে App টি নামিয়ে নিন। ইন্সটল করে নিন এখনই

এইখান থেকে ডাউনলোড করে নিন

[ডাউনলোড করতে UC বা Firefox ব্রাউজার ব্যবহার করুন। ডাউনলোড পেজে কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন তারপর Download এর নিচে টিক চিন্হটিতে ক্লিক করে তা উটিয়ে দিয়ে Download করুন ]

এক নজরে অ্যাপটির সংখিপ্ত রিভিউ দেখে নেয়া যাক।

*কোন প্রকার ডাটা কানেক্ট করার দরকার নাই।

*যেকোন যায়গা বা এড্রেস সার্চ করতে পারবেন।

*বন্ধুদের সাথে লোকেশন সেয়ার করতে পারবেন।

*Multiple languages supported
তাহলে নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন এটা কি ধরণের এপ। আর এটা কত প্রয়োজনিয়।
তাই আর দেরি কেন এখনি ডাউনলোড করে নিন কাজের এই অ্যাপটি।অ্যাপটি ফ্রি ভার্সন পাওয়া যায় তবে এটি  একদম পেইড ভার্সন। তাই আর. দেরি করেন. না Download করে নিন।  আশা করি আপনার এটি অনেক ভালো লাগবে।

কোন সমস্যা হলে টিউনমেন্টে জানান।

সবাই ভাল থাকবেন।টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।

প্রথমে প্রকাশিত হয় এইখানে   

নিয়ে নিন Ridmik keyboard এর pro+moded version!!!অনেক বেশি ফিচার পাবেন এর মধ্যে(Don’t miss)

আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আল্লাহ এর রহমতে ভাল ই আছেন আর টেকটিউনস এর সাথে থাকলে খারাপ থাকার কোন প্রশ্ন ই নাই।বাংলাদেশের সব থেকে বড় সাইট টেকটিউনস।আশা করি সারা জীবন থাকবে টেকটিউনস।টেকটিউনস কে ধন্যবাদ আমাকে টিউন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।এটি আমার 4 নম্বর টিউন আশা করি আপনাদের ভাল কিছু দিতে পারব।
আমার টিউন শুরু করছি।কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
নিয়ে নিন বাংলা টাইপিং এর সব থেকে জনপ্রিয় কিবোর্ড Ridmik keyboard এর pro version!!!!!
বাংলা আমাদের মাতৃ ভাষা তাই আমরা বাংলা তেই লিখা লিখি করতে ভালবাসি।এন্ড্রয়েড আমাদের বাংলা লিখা কে আরো সহজ করে দিয়েছে।বাংলা লিখার জন্য অনেক কিবোর্ড হয়তো আছে কিন্তু সব থেক জনপ্রিয় হল এই Ridmik keyboard আর আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এর latest & premium version. মানে আপনি পাবেন অনেক বেশি ফিচার।
App name:Ridmik keyboard pro
size:2.5mb

এই কিবোর্ড নিয়ে বেশি কিছু বলার নাই কারণ সবাই জানেন এটি কি জিনিস।৮০% এন্ড্রয়েড ইউজার ই এই কিবোর্ড ব্যবহার করে থাকেন।কারণ এর ফিচার গুলা অন্যদের থেকে অনেক ভাল।
সাথে প্রো ভার্সন এ আপনি অনেক বেশি ফিচার পাবেন যা ফ্রি ভার্সন এ নাই। আপনি কিবোর্ড এ যে কোন ফোটো সেট করতে পারবেন।কিছু বাগ ও ঠিক করা হয়েছে।
ব্যবহার করেই দেখুন ভাল লাগবে।
Download link: Click Here
[[N.B link এ গিয়ে slow download এ ক্লিক করবেন তারপর captcha coad টা দিয়ে Download link এ ক্লিক করবেন পরের পেজে App টা নাম দেখতে পাবেন ওটাই ক্লিক করলেই ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে]]

Thursday, August 25, 2016

জেনে নিন হঠাৎ আপনার বাড়ির কেউ অসুস্থ হলে তংক্ষনাত কী করবেন তা জেনে নিন আপনার মোবাইল দিয়েআর আপনি হয়ে যান নিজেই ডাক্তার(প্রয়োজনীয় ওষুধ গুলোর নাম ও কার্যকারিতা ও জেনে নিন)।সাইজ 3mb

হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দুআয় অনেক অনেক ভাল আছি। সবার সুস্থতা কামনা করে আমি শুরু করছি। হেড  লাইন দেখে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। আর আমি যা কিছু বলছি তার সবই সত্যি। বিশ্বাস হচ্ছে না, বিশ্বাস না করার কিচ্ছুই নাই। একবার ভুল করে হলেও বিশ্বাস করেই দেখুন,আর ডাউনলোড করেই দেখুন। ওকে, কথা বাড়িয়ে লাভ নাই, কাজের কথায় আসি।
আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম চরম এবং নতুন একটা এপস। যার দিয়ে আপনার বাড়ির কেউ অসুস্থ হলে তংক্ষনাত কী করনীয় তা জানতে পারবেন আপনার এন্ড্রোয়েড মোবাইল দিয়ে।
বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর কারণ হচ্ছে, এখানকার হাসপাতাল গুলা অনেক দূরে দূরে অবস্থিত এবং অনেক ক্ষেত্রেই আহত ব্যক্তিকে নিকটস্ত হাসপাতালে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা বা First Aid Treatment ই অন্যতম ভরসা। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আমরা দৈনন্দিন জীবনের কমন সমস্যা এবং দুর্ঘটনার প্রাথমিক চিকিৎসা করতে পারব।
এখানে ক্লিক করে এই Apps টি Download করে নিন।


[[N.B link এ গিয়ে slow download এ ক্লিক করবেন তারপর captcha coad টা দিয়ে Download link এ ক্লিক করবেন পরের পেজে App টা নাম দেখতে পাবেন ওটাই ক্লিক করলেই ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে]]


সুস্থ ও সুন্দর জীবন আমরা সকলেই চাই কিন্তু তারপর আমাদের জীবনে চলার পথে অনেক সময় অনেক ধরেনের দুর্ঘটনা ঘটে যায়।দুর্ঘটনা থেকে যাতে কোন ব্যক্তির গুরুতর অবস্থার অবনতি না ঘটে সে জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা অতি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক চিকিৎসা (First Aid Treatment) অ্যাপ থেকে আপনি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা যেসব রোগে আক্রান্ত হই তার প্রাথমিক চিকিৎসা সমন্ধে জানতে পারবেন এবং কি করতে হবে তা জানতে পারবেন।
ব্লগ টি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং লাইক দিবেন। ধন্যবাদ!

আপনার এন্ড্রয়েডকে রাখুন গতিময় সবসময়। হাজার এপ্স ইন্সটলেও থাকবে নতুনের মত গতি আর বাড়বে ব্যাটারি ব্যাকআপ

আসসালামু আলাইকুম।
বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা প্রতিদিনই আমাদের এন্ড্রয়েড মোবাইলে বিভিন্ন এপ্স ইন্সটল করি। কিন্তু যত এপ্স ইন্সটল করা যাবে ততোই আমাদের মোবাইলের গতি কমতে থাকে কারণ বেশির ভাগ এপ্লিকেশনগুলাই ব্যাকগ্রাউন্ডে রান হতে থাকে। আপনাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আপডেট দেওয়ার জন্য। যেমন ফেইসবুক, এটা যদি ব্যাকগ্রাউন্ডে না থাকে তাহলে আপনার ফেইসবুকে কোন নতুন নোটিফিকেশান এলে তা সাথে সাথে পাওয়া যাবে না। আবার অনেক এপ্স আছে যেগুলা মাঝে মাঝে দরকার পড়ে কিন্তু বার বার ইন্সটল আনইন্সটলের ঝামেলা করতে চান না। আমরা প্রতিদিনই এসব সমস্যার মুখোমুখি হই। আর মোবাইলটার গতি বাড়ানোর জন্য কত এপ্সইনা অনেক সময় ইন্সটল করে থাকি। আবার দেখা যায় এসব র‍্যাম ক্লিনার, স্পিড বোস্টার এপ্স ইন্সটল করার পর মোবাইল আরো স্লো হয়ে যায়। এসব এপ্স ব্যাকগ্রাউন্ডে চলার ফলে ব্যাটারিও তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়।
অনেক সমস্যা বলে ফেললাম, তাহলে চলুন দেখি এসব সমস্যার সমাধানে আমি আপনাদের কতটুকু সাহায্য করতে পারি...।
প্রথম ধাপঃ প্রথমেই আপনাকে যা করতে বলব তা হল, আপনাদের মোবাইলে যদি 360 Security, DU Speed Booster, Battery Saver এ ধরনের কোন থেকে এপ্স থেকে থাকে তাহলে এখুনি আনইন্সটল করে দিন। আমার কাছে এসব এপ্স ফালতু ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। যদিও আপনি হয়তো অনেক সময় কোন উপকার পেয়েও থাকতে পারেন। এছাড়া এন্টি ভাইরাস জাতীয় এপ্স গুলুও কারণ এগুলা মোবাইলকে সবচেয়ে বেশি স্লো করে। আর ভাইরাস থেকে বেচে থাকার উপায় সম্পর্কে পরে হয়তো টিউন করব। আপাদত ভাইরাস থেকে বেচে থাকতে এই টিপস গুলা মেনে চলবেন।
  1. প্লে স্টোর ছাড়া অন্য কোনো সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোডে বিশেষ সতর্ক থাকুন।
  2. কোন ধরনের এড এ ক্লিক করবেন না। বিশেষ করে সেইরাম আকর্ষণীয় এড;)
  3.  না বুঝে কোন হ্যাকিং টুল ব্যবহার করবেন না।

শেষ ধাপঃ এখন আপনাকে একটি এপ ইন্সটল করতে হবে যার নাম 'গ্রীনিফাই'। এই এপের কাজ হল আপনার সিলেক্ট করা এপ গুলোকে হাইবারনেইট করা অর্থাৎ ফোর্স স্টপ করা। যার ফলে আপনার  মোবাইলে হাজার এপ থাকলেও তা র‍্যামএ জায়গা করবে না ফলে আপনার মোবাইল থাকে সবসময় নতুন মোবাইলের মতো ফাস্ট। তাহলে এই এপ কিভাবে করবেন তা জানতে আমার ইউটিউবে করা ভিডিওটি দেখুন তাহলেই সহজে বুঝতে পারবেন। (ভিডিও লিঙ্ক)
ইউটিউবে আমার চ্যানেলটা প্রায় এক সপ্তাহ আগে শুরু করেছি এখানে টেকনোলোজি সম্পর্কিত বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করব। প্রতি সপ্তাহে নতুন ভিডিও পাওয়া যাবে। বিভিন্ন নতুন টেকনোলজি, তা কিভাবে কাজ করে। এন্ড্রয়েড টিপস, কম্পিউটার টিপস, রিভিও, টেক নিউজ ভিডিও আকারে প্রকাশ করব। আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। ভিডিও গুলো ভাল লাগলে লাইক, টিউমেন্ট, শেয়ারের সাথে সাথে চ্যানেলটিতে সাবক্রাইব করতে ভুলবেন না। এই দেখুন চ্যানেলটার নাম আর লিঙ্ক দিতেই তো আমি ভুলে গেলাম :3  নাম হচ্ছে "প্রযুক্তির শিরা" এইখানে ক্লিক করুন
কেন আমরা কোনো মেমোরির সম্পূর্ণ জায়গা ব্যবহার করতে পারি না, তা জানতে এখানে ক্লিক করুন
পরবর্তী টিউনে আবার দেখা হবে। খোদা হাফেয।

Wednesday, August 24, 2016

ফাইল transfer/share করুন ঝড়ের বেগে স্পিড upto 60-70Mbps মানে বুঝতেই পারছেন ব্যবহার করেই দেখুন latest version!!!

এখন এক ফোন থেকে অন্য ফোনে ফাইল শেয়ার করুন upto 60-70Mbps speed এ।কি বিশ্বাস হচ্ছে না?সত্যি বলছে।
zapya/share it থেকে একে ভাল বলা যায়।এটি সম্পূর্ণ আপডেট ভার্সন। ফাইল শেয়ার হবে ঝড়ের গতিতে
App name:Super file manager
Size:only 2mb
 
এন্ড্রয়েড ফোনের অনেক সুবিধার মধ্যে একটা হল দ্রুত গতিতে ফাইল শেয়ার করা।আর দ্রুত গতিতে ফাইল শেয়ারের জন্য এই app টা হেব্বি কাজের।বেশির ভাগ লোক share it ব্যবহার করে থাকেন এই কাজের জন্য।কিন্তু share it খুব ভাল স্পিড দিতে পারে না আমি নিজেই সব গুলা ব্যবহার করে দেখেছি।
তারপর share it এর একটি বড় সমস্যা মাধে মাধে দেখা যায় file send হয় কিছু রিসিভ হয় না আবার রিসিভ হয় তো send হয়।অনেকেই এই সমস্যায় পড়েছেন।কিন্তু এই অ্যাপ এ এই সমস্যা নাই।
ফাইল শেয়ার করার জন্য শুধু ২টা ফোন কে কানেক্ট করে নিতে হবে আর এটির আরো একটি বড় সুবিধা আপনি এন্ড্রয়েড থেকে পিসি অথবা আই ফোনের সাথে ফাইল শেয়ার করতে পারবেন।
এই অ্যাপ টি স্পিড অনেক ভাল দেয় অন্যগুলার থেকে তার মানে আমি এটা বলছি না যে অন্য গুলা খারাপ।সব গুলাই ব্যবহার করা ভাল ব্যবহার করে দেখেন।সব ফোনে সব গুলা কাজ করে না তাই।এটাই আমি অনেক স্পিড পেয়েছি তাই শেয়ার করলাম।
আর এর ভিতরের ফাংশন গুলা ও অনেক ভাল।খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে।আপনি চাইলে এটা কে ফাইল ম্যানেজার হিসাবে ও ব্যবহার করতে পারেন।
Download link:click here
[[N.B link এ গিয়ে slow download এ ক্লিক করবেন তারপর captcha coad টা দিয়ে Download link এ ক্লিক করবেন পরের পেজে App টা নাম দেখতে পাবেন ওটাই ক্লিক করলেই ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।]]

এবার আপনার ফোন চার্জ হবে ২গুণ বেশি গতিতে আশ্চর্য হয়ে যাবেন,ভয় নেই ব্যাটারির কোন সমস্যা হবে না

আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আল্লাহ এর রহমতে ভাল ই আছেন আর টেকটিউনস এর সাথে থাকলে খারাপ থাকার কোন প্রশ্ন ই নাই।বাংলাদেশের সব থেকে বড় সাইট টেকটিউনস।আশা করি সারা জীবন থাকবে টেকটিউনস।টেকটিউনস কে ধন্যবাদ আমাকে টিউন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।এটি আমার 19 নম্বর টিউন আশা করি আপনাদের ভাল কিছু দিতে পারব।
আমার টিউন শুরু করছি।কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে দারুণ একটি এপ শেয়ার করব। আমার মনে হচ্ছে এপটি আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে। কেননা এটা অনেক কাজের এপ। তাহলে আমরা এপ নিয়ে আলোচনা শুরু করি।
App name:Fast charging
size:4mb
rate:4.5/5

আমি এখন আপনাদের সাথে যে এপটি শেয়ার করতে যাচ্ছি তা আসলেই খুব কাজের। এই এপ যদি আপনার মোবাইলে থাকে, তাহলে আপনার মোবাইলের চার্জ এত দ্রুত ফুল হয়ে যাবে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে আপনার মোবাইলের কুনো রকম সমস্যা হবে না। এটা আসলে আপনার মোবাইলের কিছু কিছু সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ করে। অপরদিকে আপনার বেটারির মানে আপনার মোবাইলের বেটারির ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ। তাহলে নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন এটা কি ধরণের এপ। আর এটা কত প্রয়োজনিয়।
এই এপটি এর আগে কেউ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছে কিনা জানিনা। তবে আমি প্রথম শেয়ার করছি। কারো প্রয়োজন মনে হলে ডাউনলোড করতে পারেন।
Download link:click here
[[N.B link এ গিয়ে slow download এ ক্লিক করবেন তারপর captcha coad টা দিয়ে Download link এ ক্লিক করবেন পরের পেজে App টা নাম দেখতে পাবেন ওটাই ক্লিক করলেই ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে]]

কিভাবে revenuehits – এর এড কোড ওয়েব সাইট- এ বসাবো

বেশ কিছুদিন যাবৎ টেকটিউনস-এ revenuehits নিয়ে অনেকগুলো post হয়েছে তাই নতুন করে revenuehits নিয়ে কিছু বলার দরকার নেই। তবে এটা ঠিক যে এই সময়ে revenuehits ভালো ইনকাম দিচ্ছে এবং ১০০% পেমেন্ট দেয়। আমি বেশ কয়েকবার পেমেন্ট পেয়েছি।  তবে সেটাতে কাজ করার আগে কিছু জানতে হবে আর সেটা হল আপনার ব্লগ এবং ওয়েব সাইট কি ধরনের। revenuehits আপনার যেকোনো সাইটে এড নিয়ে আয় করতে পারেন কিন্তু শর্ত হল আপনে যদি revenuehits দিয়ে এডসেন্সে মত আয় করতে চান তাও পারবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সাইট যদি ডাউনলোড সাইট, মুভী সাইট বা এই ধরনের সাইট থাকে আর যদি সাইটে ভিসিটর থাকে আর দেরি না করে এখন একাউন্ট করে নেন। এখানে একাউন্ট করেন.
আমার আজকের টিউনের বিষয় হল যারা নতুন revenuehits -এর এড কোড নিজের সাইডে দিতে পারছেন না। চলুন শুরু করা যাক-
প্রথমে আপনি সাইন আপের কাজ করে নিয়ে,  RevenueHits- এর ড্যাসবোর্ডে যান তারপর উপরের মেনুতে PLACEMENTS-এ ক্লিক করুন।


PLACEMENTS-এ ক্লিক করার পড়ে নিচে ডান দিকে New Placement এ ক্লিক করুন।


এবার Desktop Placement সিলেক্ট করুন।


এবার একটি উইন্ডোজ আসবে সেখান থেকে আপনার পছন্দ মতো এড সিলেক্ট করে ডাবল ক্লিক করুন। ধরুন আমি Bannerসিলেক্ট করলাম।


এখন Placement name আমার  পছন্দ মতো নাম দিলাম ধরুন এডটি আমি হেডে বসাবো তাই নাম দিলাম head. এবার আমার  পছন্দ মতো এড সাইজ সিলেক্ট করবো তারপর New Site বাটন ক্লিক করব।


এবার একটি উইন্ডোজ আসবে সেখানে আপনার ওয়েব সাইট টির নাম দিন, URL বা লিঙ্ক টি দিন, Category সিলেক্ট করুন, Description যদি দিতে চান তবে দিবেন। এবার Save বাটন - এ ক্লিক করুন।


আবার এড সাইজটি সিলেক্ট করে সেভ করুন।


এবার একটি উইন্ডোজ আসবে, লাল চিহ্নিত জায়গায় ক্লিক করুন কোডের জন্য।


কোডটুকু কপি করে আপনার ওয়েব সাইট - এ বসান এবং আয় শুরু করুন।

আর নায় এডসেন্সে এখন revenuehits থেকে হাজার টাকা আয় করেন।

আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই
আশা করি সবাই ভাল আছেন  !  আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।
সামনে ঈদ তাই সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
আজকে একটি নতুন টিউন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। সেটা হল revenuehits। আমাদের সবার কম বেশ ব্লগ এবং ওয়েব সাইট আছে, ভিসিটরও আছে কিন্তু আয় নেই। আমরা সবাই সোনার হরিণ এডসেন্সে পিছনে ঘুরতে আছি যদি একবার এডসেন্সে পাই তাহলে কোটি পতি হয়ে যাব। তখন আমি হব বাংলাদেশের ১০ জনের মধ্যে একজন কোটি পতি। এই রকম কত স্বপ্ন থাকে কোটি পতি হওয়ার, আরে এটা কি সমভব্য। আমি নিজে দেখেছি একজনে এডসেন্সে নিয়ে কাজ করে, আর তার দেখাদেখি আমিও শুরু করলাম কাজ, আমি তাদেরকে বলব এই ভাবে যদি সমভব্য হত তাহলে সবাই কোটি পতি হয়ে যেত,  দেখাদেখি করে কেউ বড় হতে পারে না।

বড় সবাই হতে চাই, কোটি পতি সবাই হতে চাই, কিন্তু সেটা হতে গেলে নিজেকে জানতে হবে আমি কে আমি কি জানি কি করতে পারব কি করলে আমি বড় হতে পারব সেদিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনে একদিন সবার মত বড় হয়ে গেছেন। তাই আমি বলব এডসেন্সে পিছনে সময় ব্যয় না করে অন্যন্যা যে সাইট আছে সে দিকে নজর দেন, এডসেন্সে ছাড়া অনেকে মাসে হাজার ডলার আয় করছে। কখনও সেটা মাথায় নিবে না যে এডসেন্সে ছাড়া আমি আয় করতে পারব না, আপনার সাইটে যদি ভিসিটর থাকে তাহলে আপনার আয় কেউ আটকাতে পারবে না।


তাই আজ আমি আপনাদেরকে বলব revenuehits কথা। তবে সেটাতে কাজ করার আগে কিছু জানতে হবে আর সেটা হল আপনার ব্লগ এবং ওয়েব সাইট কি ধরনের। revenuehits আপনার যেকোনো সাইটে এড নিয়ে আয় করতে পারেন কিন্তু শর্ত হল আপনে যদি revenuehits দিয়ে এডসেন্সে মত আয় করতে চান তাও পারবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সাইট যদি ডাউনলোড সাইট, ফিল্ম, সফটওয়্যার এই ধরনের সাইট থাকে আর যদি সাইটে ভিসিটর থাকে আর দেরি না করে এখন একাউন্ট করে নেন। এখানে একাউন্ট করেন.


revenuehits এখন সবার সেরা টাকা পাইতে কোনো জামেলা নাই। আপনে যদি একাউন্ট করেন তাহলে বুঝতে পারবেন আমাকে আর বলতে হবে না সেটা সম্পর্কে। সেটাতে একাউন্ট করা খুব সহজ তার পরও যদি কেউ বুঝতে না পারেন আমাকে কমেন্ড করে জানাতে পারেন অথবা উপরে আমার ব্লগ সাইট আছে এখানে গিয়ে আমাকে জানাতে পারেন।  সবাই ভাল থাকেন আবারও ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা আজকের মত বিদায় আবার কোনো নতুন পোষ্ঠ নিয়ে হাজির হব 'আল্লাহ হাফিজ।

ভাল লাগার মতো চমৎকার ৩ টি উইন্ডোজ স্মাটফোন।

র্তমানে অনলাইনের যুগে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন একক ভাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তার ভীড়ে অনেকটাই হয়তো আড়ালে থেকে গেছে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম নির্ভর স্মার্টফোনসমূহের নাম ! তবে এখনও অনেকের কাছে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম নির্ভর স্মার্টফোনসমূহ বেশ পছন্দের। আর তাই আপনাদের কাছে আজ তুলে ধরব স্মার্টফোনের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের নানা ফিচার। বাজারে থাকা নানা রকম স্মার্টফোনের সমাহার হতে অপেক্ষাকৃত সহজলভ্য মূল্য ও উন্নত স্পেসিফিকেশন বিবেচনায় নিম্নোক্ত উইন্ডোজ ফোন হতে পারে আজথেকে আপনার বন্ধু। চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক নির্বাচিত ৩টি উইন্ডোজ স্মার্টফোনের ফিচার, সংক্ষিপ্ত রিভিউ, মূল্য ও অন্যান্য তথ্য।
১। নোকিয়া লুমিয়া ৬৩০
Lumia-630-সম্প্রতি বাজারে এসেছে মাইক্রোসফট মোবাইল ওএস এর সর্বশেষ ভার্সন উইন্ডোজ ৮.১ নির্ভর স্মার্টফোন লুমিয়া ৬৩০। এই ফোনটির উল্লেখযোগ্য দিক হলো এতে রয়েছে ডুয়েল সীম ব্যবহারের সুবিধা। ১.২ গিগাহার্টজ কোয়াডকোর প্রসেসরের।এছাড়া এতে শক্তিশালী অ্যাড্রেনো ৩০৫ জিপিউ ব্যবহার করা হয়েছে। ৫ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরার এই ফোনটিতেও ফ্রন্ট ক্যামেরা অনুপস্থিত। ৪.৫ ইঞ্চি আইপিএস স্ক্রীনবিশিষ্ট এই ফোনের ডিসপ্লের নিরাপত্তায় কর্নিংয়ের তৃতীয় প্রজন্মের গরিলা গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। লুমিয়া 630 ফোনটিতে মাত্র ৫১২ মেগাবাইটের র‍্যাম দেওয়া হয়েছে। এতে ৮ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরীর পাশাপাশি ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত এক্সটারনাল মেমোরী কার্ড ব্যবহারের সুবিধা বিদ্যমান।
২। লুমিয়া ৪৩০
lumia430মাইক্রোসফটের লুমিয়া সিরিজে যুক্ত হলো নতুন স্মার্টফোন ‘লুমিয়া ৪৩০’। এটিতে ডুয়েল সিম ব্যবহার করা যাবে। ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ফোন ৮.১ ব্যবহার করা হয়েছে। মার্কিন মুল্লুকে ফোনটির মূল্য ধরা হয়েছে ৭০ ডলার বা বাংলাদেশি ৫ হাজার ৪৪২ টাকা। এই ফোনে উইন্ডোজের সর্বশেষ সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০ বিনামূল্যে আপগ্রেড করা যাবে।লুমিয়া ৪৩০ মডেলটিতে থাকছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর, ডুয়েল কোর সিপিউ ১.২ গিগাহার্টজের। এটিতে মাইক্রোসফট অফিস, স্কাইপে এবং অনড্রাইভ প্রি-ইনস্টল করা আছে।
৩। এইচটিসি ওয়ান এম৮
HTC+reveals+cut-price+Oneউইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম আর এইচটিসি স্মার্টফোন ভালো লাগলে ব্যবহারকারীরা বেছে নিতে পারেন এইচটিসি ওয়ান এম৮ স্মার্টফোনটি। উইন্ডোজ ফোন ৮.১ অপারেটিং সিস্টেমচালিত স্মার্টফোনটিতে বাড়তি সুবিধা হিসেবে রয়েছে ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্টানা।নতুন এই এইচটিসি ওয়ান এম৮-এর অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড। উইন্ডোজ এইচটিসি ওয়ান এম৮-এর মতো এ স্মার্টফোনটির ডিজাইনও সুন্দর। পাঁচশ’ ৪০ ডলার মূল্যের এ স্মার্টফোনটিতে পরবর্তীতে ছবি এডিট ও ফোকাস পরিবর্তনের সুবিধা দিতে একটি অতিরিক্ত রিয়ার ক্যামেরা যুক্ত করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
আজ আর নয়! সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আশা রাখি আগামী দিনে আপনাদের সামনে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হতে পারব।

ডাটা এন্ট্রি দিয়ে শুরু করুন অনলাইনে আয় – (নতুনদের জন্য)

ডাটা এন্ট্রি দিয়ে শুরু করুন অনলাইনে আয় – (নতুনদের জন্য)
টুক্যাপচা (2Captcha)
টুক্যাপচা ক্যাপচা এন্ট্রি কাজের জন্য অন্যতম একটি সাইট। এখানে প্রতি ১০০০ শব্দ টাইপের জন্য আপনি পাবেন $১।
এটি পেপাল, পায়জা এবং ওয়েবমানির মাধ্যমে পে করে থাকে । অ্যাকাউন্টে মিনিমাম $১ জমা হলেই আপনি টাকা তুলতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট করার জন্য নিচের লিংকে যান
https://2captcha.com/?from=2186043
আর টাকা তুলার জন্য payza- তে অ্যাকাউন্ট করেন লিংক দিলাম https://secure.payza.com/?PvxQFFB9vhPIogH9MEQClA%3D%3D

Tuesday, August 23, 2016

এবার দেয়ালে ছবি মুভি দেখুন আপনার ফোন দিয়ে ১০০% কার্যকরি।তাও আবার মাত্র 2 mb অ্যাপ দ্বারা।

আসসালামু আলাইকুম।

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দুয়াই অনেক অনেক ভাল আছি,।সবার সুস্থতা কামনা করে আমি সুরু করছি।

হে'দ লাইন দেখে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। আর আমি যা কিছু বলছি তার সবই সত্তি।বিশশাস হচ্ছে না, বিশশাস না করার কিচ্ছুই নাই। একবার ভুল করে হলেও বিশশাস করেই দেখুন,আর ডাউনলোড করেই দেখুন,।ওকে কথা বাড়িয়ে লাভ নাই,কাজের কথাই আসি।
বিশশাস অবিশশাস বাদ দেন তারাতারি ডাওনলড দেন। আর মাত্র ত  2 mb। এক বার ট্রাই  করে দেখুন না  ভাই।

তাহলে এখুনি ডাউনলোড করে নিন ☞☞ Face projector simulator Prank এইএপ্সটি।

ডাউনলোড করলে সব নিজেই বুঝে যাবেন।
নিচ লিনক থেকে ডাউনলোড করুন।।

খুব সহজে ডাওনলড করুন এখান থেকে :
CLICK HERE TO DAWNLOAD

আজকের মতো বিদায় নিলাম। আবার কোনদিন এরকম একটি New Apps নিয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসব। ধন্যবাদ

ওকে সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। টেকটিউনে থাকার জন্য  আপনাদের সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বিদ্র: গাছকে নয় ফলকে বিশ্বাস করুন।

কথা কম কাজ বেশি।
ওকে সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। টেকটিউনে থাকার জন্য  আপনাদের সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বিদ্র: গাছকে নয় ফলকে বিশ্বাস করুন।
কথা কম কাজ বেশি।
ওকে সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। টেকটিউনে থাকার জন্য  আপনাদের সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বিদ্র: গাছকে নয় ফলকে বিশ্বাস করুন।
কথা কম কাজ বেশি।
ওকে সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। টেকটিউনে থাকার জন্য  আপনাদের সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বিদ্র: গাছকে নয় ফলকে বিশ্বাস করুন।
কথা কম কাজ বেশি।

২০১৬ সালের সেরা এন্ড্রয়েড HD পেইড গেমস ফ্রী ডাউনলোড

আস্‌সালামুআলাইকুম। প্রিয় টেকটিউনার, যারা Android স্মার্টফোন ইউজ করেন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আজকের এ টিউনখানি। ২০১৬ সালের এন্ড্রয়েড সেরা ৫টি এন্ড্রয়েড এইচডি গেমস নিয়ে সাজান হয়েছে এ টিউন টি। টিউন টিতে লিখার খুব বেশি কিছু নেই। তাই শুরু করে দিলাম। দেখুন আর নামিয়ে নিন আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য!!!

1. Cadillacs and Dinosaurs 2.2.5 APK for Android (Mostofa)

মোস্তফা গেইমের নাম শুনেননি এরকম খুব কম লোক আছেন। মনে আছে, ছোট বেলায়  ভিডিও গেমসের দোকানে ভীড় করার কথা ? ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে হয় অন্যের খেলা দেখা  না হয় নিজে খেলা ! অশব্য আমার নিজের খেলা হয়নি। আমার যতগুলি গেম ভাল লাগত  তার মধ্যে সব থেকে বেশি ভাল লাগত Cadillacs and Dinosaurs(মোস্তফা) গেমসটি। এই গেইমটি আপনারা কম্পিটারে খেলেছেন কিন্তু এখন গেইমটি এন্ড্রোয়েড মোবাইলে খেলতে পারবেন। আমার দেখা মোবাইলে খেলা সকল গেইম এর চেয়ে এই "মোস্তফা" টি ফাস্ট মোবাইল স্লো করে না। যে কোন র‍্যাম এ খেলা যায়। আর এই গেইমটির বিস্তারিত বা কাহিনি বলার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আপনারা সকলেই এই গেইমের কাহিনি জানেন। তাই দেরি না করে এই গেইমটি ডাউনলোড করে খেলা শুরু করুন।

Sunday, August 21, 2016

এবারের রিও অলিম্পিকের নতুন পাঁচ প্রযুক্তি !!!

খেলাধুলায় প্রযুক্তি ব্যবহার বর্তমান সময়ে বেশ গুরুত্বপুর্ন হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে খেলায় স্বচ্ছতা আসে এবং নানা সুবিধাও পাওয়া যায়।। এবারের রিও অলিম্পিক ২০১৬ তে বেশ কয়েকটি নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে।
লেনদেনের জন্য এনএফসি
ভিসা এবং ব্রাজিলিয়ান ব্যাংক ব্রাডেস্কো পরিধেয় ব্রেসলেটে নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) প্রযুক্তিতে অলিম্পিক গেমসে লেনদেন সুবিধা দিচ্ছে। এই গেমে অংশ নেয়া  ৩০০০ অ্যাথলেট, আর্টিস্ট এবং জার্নালিস্ট পানিরোধি রাবারের ব্রেসলেটের মাধ্যমে পন্য এবং সেবা নিতে পারছে। আর এতে অলিম্পিক ভেন্যুতে ৪ হাজার পেমেন্ট টার্মিনাল রয়েছে।
ফটোফিনিশ টেকনোলজি
সবচেয়ে বড় উদ্ভাবন হল ওমেগার তৈরি ফটোফিনিশ প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে একজন অ্যাথলেট ফিনিশ লাইন পার হওয়ার খুব দ্রুত তা ক্যামেরায় ক্যাপচার করে নেয়। উন্নত কোয়ালিটির ইমেজ এবং প্রায় ভার্টিক্যাল লাইনে পার সেকেন্ডে ১০ হাজার ডিজিটাল ফটো ক্যাপচার করতে সক্ষম।
সিকিউরিটি বেলুনস
হাই রেজ্যুলিউশনের ক্যামেরার চারটি বেলুন রয়েছে এবারের রিও গেমসে। ডিভাইসটি আঞ্চলিক কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারে রিয়েল টাইমে ইমেজ পাঠাতে সক্ষম। অলিম্পিক গেমে এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের বড় মাপের পর্যবেক্ষণ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে।
কালার ইমেজ স্কোরবোর্ড
দর্শকদের আরও ভালো অভিজ্ঞতা দেয়ার জন্য এবার স্কোরবোর্ডে কালার ইমেজ ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তিতে আর্চারি(ধনুর্বিদ্যা) আরও সঠিক হবে। আর দর্শকরা তীর টার্গেটে গেলে তা এক সেকেন্ডেই স্ক্রিনে দেখবে।
ক্লাউড হোস্টেড পোর্টাল
এই প্রথমবারের মতো স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রম এবং ব্যবস্থাপনা ক্লাউড ভিত্তিক করা হয়েছে।

সক্রিয়ভাবে মুভি সাবটাইটেল ডাউনলোড এর উপায়

মু্ভ দেখার সময় সাবটাইটেল খুবই কমন জিনিস। যদিও যারা ইংলিশ ভালো বুঝেন তাদের দরকার হয়না। আমি যেমন সাবটাইটেল ছাড়া মুভি দেখতে পারিনা। তাই মুভি দেখার সময় যদি আপনার সাবটাইটেল না লাগে তবে এই টিউন আপনার খুব একটা কাজে লাগবে না। যাই হোক কাজের কথায় আসি, আজ আমরা মুভি সাবটাইটেল ডাউনলোড এর চমৎকার একটা ‍সিস্টেম দেখব।
আমরা দেখব কিভাবে একটা মিডিয়া প্লেয়ার দিয়ে সক্রিয়ভাবে মুভি সাবটাইটেল ডাউনলোড করা যায়। এজন্য আমাদের একটা মিডিয়া প্লেয়ার লাগবে যার নাম হলো ওপেন সাবটাইটেলস প্লেয়ার। অনেকেই এর সাথে পরিচিত থাকতে পারেন, কারন এটা বেশ জনপ্রিয়। আপনি গুগলে সার্চ করতে পারেন অথবা সরাসরি তাদের  ওয়েবসাইটে চলে যেতে পারেন।
ডাউনলোড এবং ইনস্টল করে যে কোন একটি মুভি ওপেন করুন। এরপর সাবটাইটেল পেতে রাইট ক্লিক করুন এবং OpenSubtitles.org এ মাউস হোভার করে Search for matching subtitles এ ক্লিক করুন। একটা কথা বলা হয়নি যে, আপনার অবশ্যই একটা অ্যাক্টিভ ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে কারন এটা অনলাইন থেকে সাবটাইটেল খুজে ডাউনলোড করবে। নিচের ‍স্ক্রিনশটটি দেখুন।
এই সফটওয়্যারের কাজ হল আপনার ফাইলের বিপরিতে opensubtitles.org থেকে সাবটাইটেল ডাউনলোড করে আনা। আশা করছি আপনার কাজ হয়ে যাবে। এর পরও যদি কোন সমস্যা হয় আমি পুরো প্রসেস 3.32 মিনিটের একটি ভিডিও করেছি চাইলে দেখতে পারেন।
সক্রিয়ভাবে মুভি সাবটাইটেল ডাউনলোড এর উপায় আমার কাছে মনে হয়েছে এটিই সব থেকে ভালো। আপনার টিউমেন্ট শেয়ার করুন।

২০২১ এ রাস্তায় “সেলফ ড্রাইভিং” কার নামাচ্ছে ফোর্ড

২০২১ সালে সম্পূর্ণ অটোনমাস স্টিয়ারিং হুইলবিহীন সেলফ ড্রাইভিং কার রাস্তায় নামাতে যাচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত অটোমোবাইল কোম্পানি ফোর্ড। ফোর্ডের প্রেসিডেন্ট মার্ক ফিল্ডস কয়েকদিন আগে পালো আল্টো, ক্যালিফোর্নিয়ার এক প্রোগ্রামে এই ঘোষনা দেন। তারা জানিয়েছেন যে, তাদের এই অটনমাস সেলফ ড্রাইভিং কার অনেকটা উবারের মত রাইড শেয়ারিং সার্ভিস দিতে যাচ্ছে। শুধু পার্থক্য হল যে এইবার তারা এই সার্ভিস দিতে যাচ্ছে কোন হিউম্যান ড্রাইভার ছাড়াই। বিবিসিকে দেয়া এক বিবৃতি অনুযায়ী, তাদের এই সার্ভিসে শহরের সেন্টারে বিশ থেকে ত্রিশ মাইল প্রতি ঘন্টায় কাস্টমারদেরকে রাইডিং সার্ভিস দিতে পারবে তাদের এই সেলফ ড্রাইভিং কার।
গত কয়েক বছর ধরেই ফোর্ড নিজেদেরকে একটা সিম্পল কার মেকিং কোম্পানির বদলে একটা টেক কোম্পানি হিসেবে দাবী করে আসছিল। কিন্তু গত মঙ্গলবারে এসে তারা সত্যিকার অর্থেই নিজেদের দাবির স্বার্থকতা প্রমাণের দিকে একটা বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন টেকবোদ্ধারা। রিসেন্টলি তারা চাইনিজ ফার্ম বাইদুর সাথে ১৫০মিলিয়ন ডলারের (১১৫ মিলিয়ন ইউরোর) একটা চুক্তি সম্পন্ন করেছে বলে  জানা গেছে। এছাড়া, সিভিল ম্যাপস নামে একটা ডিজিটাল ম্যাপিং কোম্পানির সঙ্গেও ৬.৬ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সম্পন্ন  করেছে ফোর্ড। আর এরপর এমন একটা ঘোষনা তাদের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবারে। তো এই ঘটনাকে টেক বিশ্বে নতুন আরেক টেক জায়ান্টের পদার্পন হিসেবে দেখা যেতেই পারে।
যাই হোক, সবাই ভালো থাকবেন ইনশা আল্লাহ এই আশা করি।  এর পর আর গুরুত্বপূর্ণ কোন ইনফরমেশন নাই এই টিউনে। আল্লাহ হাফেজ। যাই হোক, সবাই ভালো থাকবেন ইনশা আল্লাহ এই আশা করি।  এর পর আর গুরুত্বপূর্ণ কোন ইনফরমেশন নাই এই টিউনে। আল্লাহ হাফেজ। যাই হোক, সবাই ভালো থাকবেন ইনশা আল্লাহ এই আশা করি।  এর পর আর গুরুত্বপূর্ণ কোন ইনফরমেশন নাই এই টিউনে। আল্লাহ হাফেজ। যাই হোক, সবাই ভালো থাকবেন ইনশা আল্লাহ এই আশা করি।  এর পর আর গুরুত্বপূর্ণ কোন ইনফরমেশন নাই এই টিউনে। আল্লাহ হাফেজ। যাই হোক, সবাই ভালো থাকবেন ইনশা আল্লাহ এই আশা করি।  এর পর আর গুরুত্বপূর্ণ কোন ইনফরমেশন নাই এই টিউনে। আল্লাহ হাফেজ। যাই হোক, সবাই ভালো থাকবেন ইনশা আল্লাহ এই আশা করি।  এর পর আর গুরুত্বপূর্ণ কোন ইনফরমেশন নাই এই টিউনে। আল্লাহ হাফেজ।